বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ের শারিরীক বিষয় নিয়ে সচেতনতা প্রচারে গৃহশিক্ষক

25th July 2021 11:01 am হুগলী
বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ের শারিরীক বিষয় নিয়ে সচেতনতা প্রচারে গৃহশিক্ষক


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : চন্দননগরের সুমন্ত বিশ্বাস গৃহ শিক্ষক। দ্বাদশ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত ভূগোল পড়ান। এম এ, বিএড হয়েও চাকরি পাননি তাই গৃহ শিক্ষকতা তার পেশা। গত ১৩ বছর ধরে বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক নিয়ে ছুঁৎমার্গ আর ভ্রান্ত ধারনার বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছেন। ছাত্র পড়ানোর পয়সা দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে বিলি করেন তিনি । এই কাজে তার সঙ্গী ছাত্র-ছাত্রীরাই। কখনো বীরভূম কখনো পুরুলিয়া আবার হুগলীর কোন আদিবাসী গ্রামে মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়ে সচেতন প্রচার করেন। ঋতুস্রাব স্বাভাবিক ঘটনা,এটা নিয়ে সংস্কারের কিছু নেই  তাই  ঘুরে ঘুরে মানুষকে বোঝাতে মেনস্ট্রুয়াল ভ্রাম্যমান স্কুল খুলেছেন তিনি । তিনি নিজেই লিখে ফেলেছেন বই। নাম দিয়েছেন  "পবিত্র ঋতুস্রাব ও সামাজিক ছুঁৎমার্গ" । ২০১৮ সালে সুমন্ত স্যার ভূ-সঙ্কল্প নামে একটি প্লাটফর্ম করেন।  যার মাধ্যমে সমাজে মেয়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করে চলেছেন।এই কাজ করতে গিয়ে হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।  কেন বেগার খাটেন, তা নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছে কেউ কেউ। তবে দোমে যাননি সুমন্ত স্যার, বরং আরো জেদ বেড়েছে। সিঙ্গুরের একটা মাদ্রাসায় মেয়েদের সারাজীবন স্যানিটারি প্যাড দেওয়ার সংকল্প নিয়েছেন তিনি । লকডাউনে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে । ইয়াসের পর ছুটে গেছেন সুন্দর বনের প্রত্যন্ত এলাকায়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।