সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : চন্দননগরের সুমন্ত বিশ্বাস গৃহ শিক্ষক। দ্বাদশ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত ভূগোল পড়ান। এম এ, বিএড হয়েও চাকরি পাননি তাই গৃহ শিক্ষকতা তার পেশা। গত ১৩ বছর ধরে বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক নিয়ে ছুঁৎমার্গ আর ভ্রান্ত ধারনার বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছেন। ছাত্র পড়ানোর পয়সা দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে বিলি করেন তিনি । এই কাজে তার সঙ্গী ছাত্র-ছাত্রীরাই। কখনো বীরভূম কখনো পুরুলিয়া আবার হুগলীর কোন আদিবাসী গ্রামে মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়ে সচেতন প্রচার করেন। ঋতুস্রাব স্বাভাবিক ঘটনা,এটা নিয়ে সংস্কারের কিছু নেই তাই ঘুরে ঘুরে মানুষকে বোঝাতে মেনস্ট্রুয়াল ভ্রাম্যমান স্কুল খুলেছেন তিনি । তিনি নিজেই লিখে ফেলেছেন বই। নাম দিয়েছেন "পবিত্র ঋতুস্রাব ও সামাজিক ছুঁৎমার্গ" । ২০১৮ সালে সুমন্ত স্যার ভূ-সঙ্কল্প নামে একটি প্লাটফর্ম করেন। যার মাধ্যমে সমাজে মেয়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করে চলেছেন।এই কাজ করতে গিয়ে হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। কেন বেগার খাটেন, তা নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছে কেউ কেউ। তবে দোমে যাননি সুমন্ত স্যার, বরং আরো জেদ বেড়েছে। সিঙ্গুরের একটা মাদ্রাসায় মেয়েদের সারাজীবন স্যানিটারি প্যাড দেওয়ার সংকল্প নিয়েছেন তিনি । লকডাউনে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে । ইয়াসের পর ছুটে গেছেন সুন্দর বনের প্রত্যন্ত এলাকায়।